প্রতিটি ঘর আলোকিত করা সরকারের একটি বড় সাফল্য : প্রধানমন্ত্রী

image-35327-1647939601

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রতিটি ঘরে বিদ্যুতের আলো জ্বালাতে পারা সরকারের একটি বড় সাফল্য।

তিনি আজ তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি একনেক (জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি) সভার বৈঠকে সভাপতিত্বকালে আরও বলেন, ‘এটি আমাদের জন্য একটি বড় সাফল্য যে আমরা প্রতিটি ঘরে আলো জ্বালাতে সক্ষম হয়েছি। এটাই সবচেয়ে বড় কথা’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়ে তাঁর সরকার ইতোমধ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছে। এখন একটাই লক্ষ্য দেশে কোন মানুষ আর গৃহহীণ বা ভূমিহীন থাকবে না।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার পদাংক অনুসরণ করেই বাংলাদেশকে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে বর্তমান সরকার সচেষ্ট।

তিনি উল্লেখ করেন, গতকাল (সোমবার) আমরা দেশের বৃহত্তম বিদ্যুৎ কেন্দ্র পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধন এবং শতভাগ বিদ্যুতায়নের ঘোষণা দিয়েছি।

সরকার প্রধান বলেন, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসার পর দীর্ঘদিন ধরে সরকার পরিচালনা করায় এ অর্জন সম্ভব হয়েছে।

তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ধারাবাহিকতা এ ধরনের সাফল্যের আরেকটি কারণ।

প্রধানমন্ত্রী বারবার তার দলকে ভোট দিয়ে দীর্ঘ মেয়াদে দেশ পরিচালনার সুযোগ দেওয়ার জন্য দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানান।
জনগণের কাছে তাঁর অঙ্গীকার প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সাথে কাজ করার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তাদের অভিনন্দন জানান।

বিদ্যুতের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে তাঁর সরকারের বেসরকারি খাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের অনুমতি প্রদানের প্রসঙ্গ ও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

মেঘনাঘাট ৪৫০ মেগাওয়াট পাওয়ার প্ল্যান্ট এবং হরিপুর ৩৬০ মেগাওয়াট পাওয়ার প্ল্যান্ট বেসরকারি খাতে নির্মিত প্রথম পাওয়ার প্ল্যান্ট। তিনি বলেন, ইউএস-ভিত্তিক এইএস (অ্যালাইড এনার্জি সিস্টেম) প্লান্ট গুলো স্থাপন করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর তাঁর সরকার বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে অনেক পদক্ষেপ নিয়েছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, ২০০১ সালে তাঁর দল ক্ষমতায় না আসায় পদক্ষেপ গুলো বাস্তবায়ন করা যায় নি।

’৯৬ সালে সরকার গঠনের সময় দেশে মাত্র ১৫শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হওয়ার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে সরকার প্রধান বলেন, তাঁর সরকার ক্ষমতা হস্তান্তরের সময় সেই বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা বাড়িয়ে ৪ হাজার ৩শ’ মেগাওয়াট করে গিয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী ৫ বছরে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ১ ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনতো বাড়াতেই পারেনি বরং কমিয়ে ফেলে। ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর দেখতে পান দেশের তখন বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা কমে ৩ হাজার ২শ’ মেগাওয়াট হয়ে গেছে।

বিদ্যুৎকে শিল্পায়নের চালিকা শক্তি উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের অনেক চর এলাকায় নদী এবং সাগরের তলদেশ দিয়ে যেমন সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি। যেখানে গ্রিড লাইন নাই সেখানে সোলার প্যানেল দিয়ে যেমন বিদ্যুৎ দিয়েছি তেমনি সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে মূল বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি। যাতে সেখানে শিল্পায়ন হতে পারে।

তিনি সন্দ্বীপের উদাহারণ টেনে বলেন সেখানে প্রথমে আমরা সোলার প্যানেল দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহের পর সাবমেরিন কেবল দিয়েও বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি। চর কুকরী মুকরী, রাঙ্গাবালীতেও আমরা সেভাবে দেয়া শুরু করেছি।

এক সময় দক্ষিণাঞ্চল অবহেলিত ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাঁর সরকার পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, পায়রা বন্দর, সেনানিবাস, সড়ক ও মহাসড়ক ইত্যাদি নির্মাণের মাধ্যমে এই অঞ্চলের উন্নয়ন করেছে যা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় সহায়তা করবে।

প্রধানমন্ত্রী প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় এ অঞ্চলে সবাইকে বেশি করে বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে সবুজ বেষ্টনী গড়ে তোলার এবং কৃত্রিম ম্যানগ্রোভ তৈরির আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, প্রকৃতির প্রতিশোধ খুব কঠিন, কাজেই প্রকৃতি কীভাবে এটা করে সেটা আমি নিজের চোখেই দেখেছি বহুবার।

তারপরও আমি বলবো মানুষের সুরক্ষার যে বিষয়, সেটা আমরা নিশ্চিত করেছি এবং গতকাল আমি বলেছি সবাই গাছ লাগাবেন। যে দায়িত্বটা আমাদের কৃষকলীগের ওপর ন্যস্ত থাকে তাদেরই উদ্যোগে আষাঢ় মাসে সারাদেশে বৃক্ষরোপন করা হয়।

তিনি বলেন, ১৯৮৪-৮৫ সাল থেকে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে এই কর্মসূচি নেয়া হয়। যদিও সে সময় জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ প্রভাবের বিষয়টা তেমন ভাবে আলোচনায় ছিলনা। তারপরও তাঁর দলের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনকে দিয়ে মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়নের যে পদক্ষেপ তারই অংশ হিসেবে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি বাস্তবায়নের দায়িত্ব কৃষকলীগের ওপর বর্তায়।

পদ্মা সেতু চালু হয়ে গেলে এক সময়কার চরম দুর্দশাগ্রস্থ দক্ষিণাঞ্চলের জনগণের জীবন মান আরো উন্নত হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।

একনেক সভায় স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ২ হাজার ৫৫৫ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন

 জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় আজ নগর স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর কোভিড-১৯ মহামারির ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া ও ভবিষ্যতে এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২ হাজার ৫৫৫ দশমিক ২৫ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে।প্রধানমন্ত্রী ও একনেক সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজ অনুষ্ঠিত চলতি অর্থবছরের ১২তম একনেক সভায় এ অনুমোদন দেয়া হল।

প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এবং মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যবৃন্দ ও সংশ্লিষ্ট সচিবগণ রাজধানীর শের-এ-বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষ থেকে সভায় যোগ দেন।

সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, আজ মোট আনুমানিক ১৫ হাজার ৭৪৪ দশমিক ৫৬ কোটি টাকা ব্যয় সাপেক্ষ ১২টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ‘মোট ব্যয়ের ১১ হাজার ৬৭৪ দশমিক ৮৩ কোটি টাকা দেবে বাংলাদেশ সরকার, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর নিজস্ব তহবিল থেকে আসবে ১ দশমিক ২০ কোটি টাকা এবং বাকি ৪ হাজার ৬৮ দশমিক ৫৩ কোটি টাকা প্রকল্প সহায়তা থেকে পাওয়া যাবে।’

অনুমোদিত ১২টি প্রকল্পের মধ্যে ১১টি নতুন ও আরেকটি সংশোধিত প্রকল্প।

সভায় প্রধানমন্ত্রীর কিছু নির্দেশনার ব্যাপারে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট কর্র্তৃপক্ষকে উপকূলীয় এলাকাগুলোতে বনায়ন বৃদ্ধির পাশাপাশি ম্যানগ্রোভ বনের পরিধি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

শেখ হাসিনা দেশের ভোজ্য তেলের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে আরো অধিক তেল উৎপাদনের লক্ষ্যে সয়াবিন ও সুর্যমুখীর আবাদ বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তবে এজন্য আরো গবেষণা প্রয়োজন, আর এতে অর্থ জরুরি।

প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ এলাকার সড়কের দুপাশে কালভার্ট রাখা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন, যাতে করে প্রাকৃতিক পানির প্রবাহ বিঘিœত না হয়।

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম উল্লেখ করেছেন যে, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের নি¤œ পর্যায়ের কর্মীদের (পরিচ্ছন্নকর্মী, সিগন্যাল স্টাফ) পরবর্তী প্রজন্মকে যথাযথ শিক্ষা থাকে তবে তাদের জন্য বিদ্যমান  সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ কোটা চালু রাখা যেতে পারে।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সভার শুরুতে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধন করে দেশকে শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় নিয়ে আসায় একনেক এর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানানো হয়।

মান্নান আরো বলেন, সরকার বাজার তদারকি করা বাড়িয়েছে এবং সুলভ মূল্যে প্রায় এক কোটি পরিবারকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য প্রদান করা হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, ‘আশা করা হচ্ছে যে, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি হ্রাস পেয়েছে এবং আগামী কয়েক দিনের মধ্যে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে এসে পড়বে।’

মান্নান বলেন, প্রধান সামষ্টিক অর্থনৈতিক সূচকগুলো এখন শক্তিশালী রয়েছে এবং রেমিটেন্স প্রবাহও ইতিবাচক।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকার মতামত ও বিভিন্ন থিকংট্যাংকসহ অন্যান্যদের গবেষণাকে সম্মান জানায়।

কিন্তু বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ও অন্যান্য সরকারি সংস্থাগুলোর তথ্যের ওপর ভিত্তি করে জানানো যাচ্ছে যে, মাথাপিছু আয় ও জীবনযাত্রার ক্ষেত্রে ভাল ফলাফল আসছে।

পরিকল্পনামন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক মূল্যবৃদ্ধি সত্ত্বেও অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায় সরকার মূল্যস্ফীতি পরিস্থিতি ভালভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছে।

পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, এলজিআরইডি এবং সমবায় মন্ত্রনালয় অধিন স্থানীয় সরকার বিভাগ ২০২৫ সালের মধ্যে স্থানীয় সরকার ২,৫৫৫.২৫ কোটি টাকার কোভিড -১৯ রেসপন্স ও রিকভারি প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে।

তিনি বলেন, সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভা নির্ধারিত এলাকায় এটি বাস্তবায়ন হবে। মোট বরাদ্দকৃত অর্থের মধ্যে সরকারি কোষাগার থেকে পাওয়া যাবে ১১.২৫ কোটি টাকা। বাকি টাকা পাওয়া যাবে বিশ্ব ব্যাংকের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন এসোসিয়েশন (আইডিআরএ) থেকে। প্রকল্পটি ১০টি সিটি কর্পোরেশন এবং ৩২৯ টি পৌরসভায় বাস্তবায়িত হবে।

প্রকল্পটি কোভিড -১৯ ভাইরাস নিয়ন্ত্রন এবং শহরে বসবাসকারী প্রায় ৪ কোটি মানুষের ভবিষ্যৎ দুর্যোগ প্রস্তুতির সঙ্গে সম্পর্কিত স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করবে।

প্রকল্পের অধীন বাজারগুলোতে টয়লেট নির্মাণ, কবরস্থান নির্মাণ, সমাধিস্থান নির্মাণ এবং নির্ধারিত সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভা পরিচালিত স্কুল এবং এ সকল প্রতিষ্ঠানে সেনিটেশন সামগ্রী বিতরণ করা হবে।

পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, সুযোগ-সুবিধা ও অবকাঠামো উন্নয়ন, স্থানীয় অর্থনীতি পুনরুদ্ধার এবং জলবায়ু’র প্রভাবজনিত কারণ, সৃষ্ট দুযোর্গ পরিস্থিতি মোকাবেলা ও ভবিষ্যতে সংক্রমিত রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রকল্প থেকে বাৎসরিক ভিত্তিতে অর্থ বরাদ্দ পাবে।

বিশ্বব্যাংক কর্মকর্তারা বলেন, প্রকল্পের অর্থদিয়ে স্থানীয় নগর কাঠামোগুলো হাতধোয়া কেন্দ্র ও টয়লেট স্থাপন করবে এবং পৌরসভা মালিকানাধীন অথবা পরিচালিত বাজার, কবরস্থান উন্নয়ন করা হবে।

প্রকল্পটি পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠির জন্য পৌরসভা পরিচালিত স্বাস্থ্য কেন্দ্রে অধিক সেবা পাওয়া এবং ভ্যাকসিন রেজিষ্ট্রেশনের ক্ষেত্রে ও কোভিড -১৯- প্রটোকল, ভ্যাকসিন ও জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবেলায় অধিক সেবা পেতে সহায়ক হবে।

এই প্রকল্প গণপূর্ত স্কীমের অধীন প্রায় ১০ লাখ লোকের জন্য অস্থায়ী কর্মসংস্থান ও ১০ হাজার নারীর জন্য কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করবে।

প্রকল্পটি প্রশিক্ষণ, টেকনিকেল সাপোর্ট এবং আরও অধিক সমন্বয়ের জন্য ওয়েভবেস্ট প্লাটফর্ম স্থাপন ও তথ্য বিনিময়ের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার কাঠমোকে আরও শক্তিশালী করতে সহায়ক হবে। আটটি বিভাগে যথাক্রমে- বরিশাল, চট্রগ্রাম, ঢাকা, খুলনা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, রংপুর ও সিলেটে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে।

সভায় অনুমোদিত অপর প্রকল্পগুলো হলো বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ১,৭০৪.৩৩ কোটি টাকা ব্যয় সাপেক্ষ ২০০টি ব্রডগ্রেজ (বিজি) যাত্রী বগি ক্রয়, উপকূলীয় জেলাসমূহে চাষাবাদের জন্য বৃষ্টির পানি ব্যবহারে ৯৬১.৭৬ কোটি টাকার প্রকল্প, চট্টগ্রামে জহুরুল হক ঘাটিতে বিমান বাহিনী প্রশিক্ষণ ইনিস্টিটিউ স্থাপনে  অতিরিক্ত ১৪০.৪২ কোটি টাকার সংশোধিত বাজেট, ২২৮.০৮ কোটি টাকার গর্ভনেন্স এন্ড ম্যানেজমেন্ট রিসার্স এন্ড ট্রেনিং ফ্যাসিলিটিস উন্নয়ন প্রকল্প, নওগাঁ সড়ক অধিদপ্তরের অধীন তিনটি আঞ্চলিক মহাসড়ক ও তিনটি জেলা মহাসড়ক উন্নয়নে ১১৮২.৪৯ কোটি টাকার প্রকল্প, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য বহি:টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থাপনে ৩৭৮.৮৪ কোটি টাকার প্রকল্প এবং বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বীজ বহুমুখী খামার স্থাপন প্রকল্প।

অনুমোদিত অপর প্রকল্পসমূহ হলো ভূগর্ভস্থ সেচ ক্যানেল সম্প্রসারণের মাধ্যমে সেচ এলাকা এবং সেচ সুবিধা বৃদ্ধি পরীক্ষামূলক ভাবে ড্রিপ সেচ ব্যবস্থা চালু করতে ৩২৯.০১ কোটি টাকার প্রকল্প, ইউনির্ভাসেল সোসিয়াল ইনফ্রাস্ট্রাকচার-২ (জিএসআইডিপি-২) উন্নয়নে ১০৮২ কোটি টাকার প্রকল্প, বরিশাল বিভাগে পল্লী সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক নির্মাণে ৪০৫০ কোটি টাকার প্রকল্প এবং গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা ও ইউনিয়নে সড়ক প্রশস্ত ও শক্তিশালীকরণে ২,৬৯৩.৪৩ কোটি টাকার প্রকল্প।

Pin It